করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট অনেক বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিন নেয়া মানুষরাও সংক্রামিত ও সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে প্রমানিত । তবে টিকা নেয়া থাকলে ভয়ানক কিছু কিংবা মরার সম্ভাবনা অনূর্ধ্ব পঞ্চাশের জন্য খুবই কম । কিন্তু উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরিধান করলে নিজে ও আশেপাশের মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো যেতে পারে।
মাস্ক সবচেয়ে ভালো কাজ করে যখন আশেপাশের সবাই এটি ব্যবহার করে। যখন কোন সংক্রমিত ব্যক্তি মাস্ক পরে থাকে, তখন তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রামক কণার একটি বড় অংশ মাস্কে আটকে যায় । আর অন্যরা মাস্ক পরে থাকলে চারপাশে ভাসমান থাকা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশে বাধা পায়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে মাস্ক নিয়ে মাস্ক পরিধানকারীর সুরক্ষার বেপারে প্রশ্ন থাকলেও বর্তমান সমস্ত গবেষণার মূল কথা হল যে, মাস্ক পরিধান ব্যক্তির সম্ভাব্য সংক্রমণ হ্রাস করে ।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি সাধারণ সুতির মাস্ক পরিধানকারীকে ১৭ থেকে ২৭ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। সার্জিক্যাল মাস্ক ৪৭ থেকে ৫০ শতাংশ, হালকা ফিটিং এন-৯৫ মাস্ক ৫৭ থেকে ৮৬ শতাংশ এবং শক্তভাবে সিল করা এন-৯৫ মাস্ক ৭৯ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
যদিও করোনার বিরুদ্ধে টিকাই হ’ল সর্বোত্তম সুরক্ষা। কিন্তু সংক্রামন থেকে রক্ষার জন্য গবেষকরা বড় জমায়েত, মূলত বদ্ধ জায়গায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
Wear a mask and follow the hygiene rules.