বাবা-মা এবং যত্নশীলরা প্রায়শই বাচ্চাদের স্ক্রিন টাইম নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মুখোমুখি হন। এ ব্যপারে শিশুদের যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে অনেকেই অনলাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাবে । যেকোনো জিনিসের অত্যধিক ব্যবহারের মতো, অত্যধিক স্ক্রীন টাইম শিশুদের সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মনে রাখতে হবে দিন যতই যাবে আমরা ততই আরো বেশি অনলাইন কেন্দ্রিক হতে থাকব আর তার জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস ।
শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি বিনোদনধর্মী ও পরিবার-বান্ধব কনটেন্টর সুবিধা উপভোগ করতে দিতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে যেন ক্ষতিকর (যৌন এবং সহিংস) কনটেন্টের সম্মুখীন না হয় । এখানে আমরা ৭ টি উপায় নিয়ে কথা বলব যা বাচ্চাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেঃ
১) ইতিবাচক উপায়ে অনলাইনে লোকেদের সাথে যোগাযোগ করা, এবং এমন লোক বা গোষ্ঠীকে অনুসরণ করা যারা সহায়ক, এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ।
২) কারোর সাথে কথোপকথন করার সময় অনলাইনে স্ক্রল কিংবা ডিভাইসে মুখ গোঁজে না থাকা শিখান ।
৩) সারাদিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি সম্পূর্ণ নিশ্চিত করতে বাচ্চাদের মোবাইল ডিভাইস দূরে রাখতে শিখাতে হবে ।
৪) টেলিভিশন এবং অন্যান্য মিডিয়ার মতো, ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার আপনার সন্তানের বয়সের উপর নির্ভর করে যুক্তিসঙ্গত সীমা থাকা উচিত। আপনি আপনার সন্তানের সাথে এগুলি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং একসাথে তাদের সাথে একমত হতে পারেন।
৫) কখনও কখনও শিশুরা শিক্ষাগত কারণে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে, যেমন স্কুলের কাজ করার জন্য, এই ক্ষেত্রে তাদের একা কাজ করা বোধগম্য। যদিও অন্য সময়ে, আপনার সন্তান অনলাইনে যা করছে তা আপনার সাথে শেয়ার করতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। আপনি আপনার সন্তানের সাথে একটি ভিডিও গেম খেলতে পারেন কিংবা তাদের সাথে একটি শো দেখতে পারেন এবং শোতে কী ঘটছে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন ।
৬) ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গায় রাখা, যেমন পরিবারিক খাবারের সময়, পারিবারিক অনুষ্ঠান এবং শয়নকক্ষকে টেক ফ্রি জোন করা ।
৭) তারা যে অ্যাপগুলি ব্যবহার করছে তা নিয়ে গবেষণা করুন । দুর্ভাগ্যবশত অনেকেরই বাচ্চাদের শেখানোর লক্ষ্যের অ্যাপের মানের জন্য মূল্যায়ন করেন না ।
সংগ্রহঃ তপু
মূল উৎস ও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন…
ছবিঃ পিক্সাবে
সময়পোযগী, দিক নির্দেশনা মূলক এবং কার্যকরি।