শরীরচর্চার শুরুতে প্রথমে শরীরকে ওয়ার্মআপ করে নিতে হয়। ব্যয়াম শেষে ধীরে ধীরে শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসুন। এটাকে বলে কুলডাউন। এটি আপনার হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসবে।
দীর্ঘ বিরতির পর শরীরচর্চা শুরু করলে প্রথম দিনেই বিপত্তি দেখা দিতে পারে। পর্যায়ক্রমে শরীরচর্চার মাত্রা বাড়াতে হবে। শুরুতে দিনে ১০ মিনিট হাঁটুন। দু-তিন দিন পর সময় বৃদ্ধি করুন। এভাবে ১৫-২০-২৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টায় উন্নীত করুন।
সপ্তাহে দেড় শ মিনিট শরীরচর্চা করার সক্ষমতা অর্জন করা শারীরিক সুস্থতার জন্য যথেষ্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর শরীরচর্চা করতে গেলে ক্ষেত্রবিশেষে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শুরুতে মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়ামগুলো করতে হবে। কেননা দুর্বল পেশি নিয়ে শরীরচর্চা করতে গেলে অস্থিসন্ধির ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। মাংসপেশির সামান্য ব্যথা হতেই ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না
শরীরচর্চা শুরু করলে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেও নজর দিন। পানিশূন্যতা ঠেকাতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পুষ্টিকর সুষম খাবার খেতে হবে। আর পর্যাপ্ত নিদ্রা যেন হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।