দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত কাজই আমরা করি অন্ধ কুঠুরিতে থাকা মস্তিষ্ক খাটিয়ে কিন্তু মস্তকে বেশিরভাগ তথ্যই আসে আমাদের চোখ দিয়ে । এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি এমনিতেই সুরক্ষিত, যেমনঃ চোখের পাতা, আইলেশ ও আইভ্রু চোখকে ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করে। চোখের পানি সাধারণত ধুলাবালু ধুয়ে রোগজীবাণু ধ্বংস করে চোখকে সুস্থ রাখে।
কিন্তু আজকাল কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ছাড়া ঠিক কোন কাজটি হয়? ল্যাপটপ বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে কারণে স্বাভাবিকভাবেই চোখের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এতে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম অর্থাৎ মাথা ব্যথা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, ফোকাস নষ্ট হওয়াসহ নানা রকমের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এসব থেকে সুস্থ চিকিৎসকরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন যা মানাটা জরুরি।
- কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের উপরের সীমানা ও চোখ একই লাইনে থাকা দরকার এবং স্ক্রিন থেকে চোখের দূরত্ব সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট রাখা উচিত।
- খেয়াল রাখতে হবে স্ক্রিনে যেন আশেপাশের জানলা বা বাল্বের আলোর প্রতিফলন না হয়। এছাড়াও অন্য কোন আলোও যেন সরাসরি চোখের দিকে যাতে না আসে। কারণ এতে চোখের ওপর চাপের সৃষ্টি হবে। সে কারনে অন্ধকার ঘরে কম্পিউটার কাজ করাও স্বাস্থ্যকর না।
- দীর্ঘদিন অপরিষ্কার স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটারের স্ক্রিন পরিষ্কার করা উচিত।
- লম্বা সময় কম্পিউটারে মগ্ন থাকলে চোখের পলক ফেলার কথা ভুলে যেতে পারেন আর তাতে করে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে । এজন্য একটু পর পর চোখের পলক ফেলা ময়েশ্চার তৈরির জন্য জরুরি । মাঝেমাঝে চোখ-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে স্বস্তি মেলে। চোখ সুরক্ষার জন্য চমৎকার একটি কৌশল হলো ২০-২০-২০, অর্থাৎ এতে প্রতি ২০ মিনিট পর পর, ২০ ফুট দূরত্বের কোনো জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড করে তাকিয়ে থাকতে হয়। চোখ এতে বিশ্রাম পায়।
- টেবিলে কাজ করার সময় একটি চেয়ারে পিঠ এবং ঘাড় সোজা করে বসুন। আপনার নিতম্ব এবং হাঁটুর জয়েন্ট ৯০ ডিগ্রি কোণ থাকা উচিত। কাজ থেকে নিয়মিত বিরতি নিন, হালকা নড়াচড়া করুন।
- মনে রাখবেন দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জ্রুরি তবে অন্ধকার ঘরে ঘুমানো ভাল কারণ চোখের পাতা দিয়ে হালকা আলো ঢুকলেও তা ঘুমে ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে।
- আর ভুলে যাবেন না টাটকা শাকসবজিসহ পুষ্টিকর খাবারের কথা ।
সংগ্রহঃ তপু