আগে গ্রামের বাড়ির সীমানায় কয়েকটা করে নারকেলগাছ দেখা যেত। সময়ের সাথে গ্রামেও লেগেছে শহরের হাওয়া, কমেছে নারকেল গাছ ।
কেন গ্রামের বেশির ভাগ বাড়ির সীমানায় নারকেলগাছ দেখা যেত?
ডাবের পানি স্বাস্থ্যকর আর নারকেলও বেশ মজার । কিন্তু শুধু কি ফলগাছ হিসেবেই এ গাছের এত গুরুত্ব?
বাড়ির চারদিকে কিছু নারকেলগাছ থাকলে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায়। নারকেলগাছ অনেক উঁচু এবং এর সরু পাতাগুলো মেঘের বিদ্যুৎ নিষ্ক্রিএ করতে ভূমিকা পালন করে। বজ্রপাতের সময় মেঘে সঞ্চিত ঋণাত্মক বিদ্যুৎ বাতাসের বাধা অতিক্রম করে দ্রুত মাটির সংস্পর্শে আসতে নারকেলগাছ সাহায্য করে।
শহরে বজ্রপাতের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উঁচু দালানের চূড়ায় চোখা লোহার শিক লাগানো হয়, যা তামার তারের সাহায্যে দেয়ালের ভেতর দিয়ে মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে বজ্রপাত নিষ্ক্রিয় হয়, বাড়ি থাকে অক্ষত । গ্রামে এই কাজটি করতো নারকেলগাছ।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বজ্রপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর সেজন্য প্রয়োজন এ ব্যাপারে জানা ও সচেতনত হওয়া ।